সূরজ
দাশের মতে দুর্বোধ্যতার উৎস
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কবিতা নির্মাণের পরিকাঠামোগত পরীক্ষা- নিরীক্ষা। কবিতাকে
দুর্বোধ্য করে নয়, পাঠকের সঙ্গে খুব সহজ সরল উচ্চারণ দিয়েই পৌঁছাতে চায়। অযথা কবিতাকে দুর্বোধ্য করে তুলতে প্রবল অনীহা
তার। এটা তার একেবারেই না পছন্দ। জীবনযাপনের তীব্র বেদনাবোধ, মৃত্যু নিয়ে নিজস্ব
চিন্তার অভিঘাত মানুষকে যেভাবে বিচলিত করে তেমনিভাবে তাকেও খুব নাড়া দেয় এমন সব
সাধারণ বিষয়। এসবই খুব সহজ করে সাধারণ
মানুষের মুখের ভাষায় ফুটিয়ে তুলতে চায় তার লেখায়। এসবই পরীক্ষা-নিরীক্ষা তার কবিতা
যাপনে। কবিতায় জীবনবোধ, নৈরাশ্য, বিষণ্নতা, সময়কে অতিক্রম করে সমাজের চলমান
জীবনযাত্রার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নিতে চায় গভীর অনুভবে। পথ চলার গভীর প্রত্যয়ে
জীবনকে গড়ে নিতে চায় নতুনভাবে, কবিতার শরীরে সেসবই গাঁথতে ভালোবাসে বরাবর। ইতিহাস,
লোকায়ত জীবন, গ্রাম-বাংলা, সময়-চেতনা, এইসবই জীবনের মগ্নতায় শাশ্বত পথের সন্ধানে
কবিতায় ধরবার চেষ্টা করে।
সূরজ
দাশ-এর কবিতা
জ্যামিতিক
হাওয়াঘর
দুপুরের
গ্রীল বারান্দা ছুঁয়ে
উড়ে
যায় আকাশ বাউরি
নিশ্চয়তার
দিকে
মেঠো
রাস্তার পাশে স্বাভিমানি মহীপাল
আপোষে
অস্ত্র শানায় যুদ্ধের
শ্লেষ-আশ্লেষে
হেঁটে যায়
জ্যামিতিক
হাওয়াঘর
গ্রাম
থেকে অন্য গ্রামে
তখনও
আসেনি এই কান্নাকাটি
ভুল
বোঝাবুঝি, শুরু হয়নি
কাঁচের
বাক্সের ভিতর পরস্পর
জড়িয়ে
মরিয়ে হিংসাত্মক খেলা
ছুমন্তর
মানুষেরা তখন সূর্যমুখী রোদ মেখে
ঘণ্টা
বাজাতই, খন ভাওইয়া হতো পীরের দরগায়
দেখা
যেত বাল্যকাল
ফেলে
আসা শিবসমুদ্রম
সুসময়,
অরণ্যের পারাপার
আততায়ী
ফুল
তোমার
গামলাভর্তি দুপুরগুলো মাঝেমধ্যে বেড়াতে আসে এখানে
আগলে
রাখা এই ব্যক্তিগত ভিজে কাপড়ের নৌ যুদ্ধে তুমি ওদের পাঠাও
ওরা
ছুঁয়ে থাকে আমার গৌরাঙ্গ... আমার মেখলিগঞ্জের সুপারি ...
পছন্দের
রাস্তা ছুঁয়ে এই যাতায়াত... তর্কদের বাড়ি থেকে দূরে থাকো
আকস্মিক
কোনও যোগাযোগ না হলে এখানেই ফোটে তখন আততায়ী ফুল
বিহান এর সম্পাদককে ধন্যবাদ
ReplyDelete