Total Pageviews

সৈকত ধারা-এর কবিতা


সৈকত ধারার মতে এই ফর্মে কবিতা লেখার ধারাবাহিকতা তার নেই। যেখানে বিজ্ঞান ও বাস্তবতার সরলতা প্রকাশে ভাবিত হওয়া অথবা আধো ভাবিত না হয়ে বলে দেয়া ফিলসফি বিবর্জিত। যদিও কবিতা লেখার ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্নভাবে এক বা একাধিক ফিলসফিকে কেন্দ্র বা বিকেন্দ্র করা হয়। এই লেখাগুলোতে সে চেষ্টা করা হয়নি। এখানে ভাবনার গভীরতা থেকে ফিরিয়ে বৈজ্ঞানিক সত্যকে আক্ষরিক অর্থে ঠুকে রাখার চেষ্টাই করা হয়েছে। অথবা প্রকৃতির জীবনাচার সেও চর্চাবহুল রূপ নিয়েই হাজির এসব কবিতায়। হয়তো একটু চিন্তা করলেই স্পষ্টতার রূপ পরিগ্রহ করে। যেমন, মার্কেজ শিরোনামে কবিতাটিতে দেয়ালের ভেতর লুকিয়ে রাখা হাড়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার শতবর্ষের নিঃসঙ্গতা উপন্যাসের একটি চরিত্র যে কাজটি করতেন। আর দেয়ালের ভেতর হাড় মানে তো এর কাঠামো বা দেয়ালটির ভিত্তি বা একটি জগৎ নির্মাণের এইরূপ বাস্তব প্রকৌশল।

সৈকত ধারা-এর কবিতা

কবি ও কাক

কা কা করা অর্থে কবিকে কাকের সঙ্গে
তুলনা করার নেতিমূলক কথা জারি থাকলেও
সর্বভোরে ডেকে উঠা পাখিটার নাম কাক।
নিশ্চয়ই, একটা দিনের শুরুর ঘোষণাপত্র রচনা করে এই কাক।

পাখি ও আঁখি

মানুষ মূলতঃ পাখি।
পাখিরও থাকে গরুর চোখের মতন আঁখি।


মুখোমুখি

সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়ালো গিয়ে চাঁদ!
আর তোমরা বলছো আজ অমাবস্যা।

তীর

দাঁড়িয়েছিলাম তোমার তীর ছোঁড়ার বিপরীতে।
অথচ পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে সেই তীর বিদ্ধ হলো আমাতেই!

পাথর

পাথর আজ তোমাদের কাছে কাঁদছে।
তবুও তোমরা তার উপর দাঁড়াতে পার;
কিন্তু মুখ লুকিয়ে  নয়।

মার্কেজ

দেয়ালের ভেতর লুকিয়ে রাখা হাড়!
ইহা কোনো যাদুবাস্তবতার গল্প নয়,
পৃথিবী নির্মাণের জমকালো প্রকৌশল!




No comments:

Post a Comment